স্কুলে ফার্স্টটাইম সাইন্সক্যাম্প আয়োজন। 

wp-image-1341852000jpeg.jpg

দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার।  রুয়েটে ওইদিন ক্লাস থাকে না। আমাদের এক্সট্রা কাজ গুলো আমরা বৃহস্পতি, শুক্র  এইদুইদিনে শেষ করার চেষ্টা করি। রুয়েটে ভর্তির পর স্বপ্ন ছিলো সাইন্সক্লাবে জয়েন করবো, স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করবো।  এরই সূত্র ধরে আমি Astronomy & Science Society of RUET এ জয়েন করি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে।দীর্ঘ ১ বছরের বিরতির পর আবার কাজ করার সুযোগ পাই ২০১৬ সালের জুলাই/অগাস্ট থেকে। …….. এখন ২০১৭ । আগস্ট মাস।   স্কুল ক্যাম্প করার দায়িত্ব আমার উপর।  ১৬ সিরিজকে ডাকলাম।  তাদের নিজেদের কাছ থেকে এক্সপেরিমেন্ট নিলাম।তারা আগ্রহ দেখালো বেশ। ১৬ সিরিজের পোলাপান বেশ ইন্টারেস্টেড স্কুল ক্যাম্প নিয়ে।  তাদের দিয়ে প্রেক্টিস করালাম,ইকুইপমেন্ট কিনালাম। তারা অনেক প্রেক্টিস করে স্কুল ক্যাম্পটার জন্য। স্পিচ রেডি করে নিজেদের মত করে।  স্পিচ রেডি করা কি চাট্টি খানি কথা!!!!!

স্কুলের হেডমাস্টারের কাছ থেকে অনুমতি নিলাম,হেড স্যার ভারী মজার মানুষ (উনার সাথে পরিচয়ের ঘটনাটাও ছিল চমতকার, আরেক দিন বলবো ওটা।)

 

wp-image-798215537jpg.jpg
২৪/৮/১৭

বৃহস্পতিবার

আমরা স্কুলে চলে গেলাম ৯ টার আগেই। ১৬ সিরিজের ১০ জন,আমরা ১৪ সিরিজের ৬ জন আর বাপ্পী ভাই। সাথে নিলাম টেলিস্কোপ, প্রজেক্টর,১২ টা এক্সপেরিমেন্ট,ক্যামেরা, ব্যানার আর আইডিকার্ড।
ব্যানার,আইডিকার্ড আমি নিজেই ডিজাইন করে প্রিন্ট করাইছি। প্রজেক্টর নিজে এপ্লিকেশন লিখে অফিস থেকে ম্যানেজ করছি।

আহা,এগুলা কেনো বলতেসি, নিজের বড়াই করা ভালো না সাখাওয়াত 😁😁

যাই হোক আমরা স্কুলে পৌছালাম ৯ টার আগে।  ছাত্র ছাত্রী দুই ক্লাসরুমে আলাদা করে দেওয়া হল। ২ রুমেই এটে গেলো সবাই।

wp-image-1299239954jpeg.jpg

আমরা আলাদা আলাদা শেষন নেওয়া শুরু করলাম,
হাসনাইন ছেলেদের ক্লাসে প্রথম শেষন নেয়। প্রজেক্টর এ
এই এক্সপেরিমেন্ট নেয় মাহমুদ। আতিক ছবি তোলে সব।  ভালো ছবি তোলে।

 

wp-image-949402077jpeg.jpg
বাপ্পি ভাই ক্লাশের শেষন নেওয়ার পরে মেয়েদের টেলিস্কোপ সম্পর্কে বলছেন

wp-image-741350014jpeg.jpg

সামিন ছেলেটে ভালো এক্সপ্লেইন করে।  অনেক অভিজ্ঞতা আছে ছেলেটার। এই ছেলেটা না থাকলে স্কুল ক্যাম্পটা পানসা হয়ে যেতো।

এই ছেলে অনেক আগ্রহ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট এ পার্টিসিপেট করছে । শব্দ নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট।

wp-image-1461881453jpg.jpg

তামজীদ আর তিষান।  ম্যাগনেট নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে। যাদু দেখাচ্ছে।

img_0026-1.jpg.jpg

MMeade-lx90 8″ telescope দিয়ে একটি বাচ্চামেয়ে প্রথমবারের মত সূর্য দেখছে, এমেজিং না ব্যাপারটা।   কল্পনা করা যায়, বিজ্ঞান আমাদের লেভেল কই নিয়ে গেসে !!!
এই গ্রুপছবিটা আমি তুলি। আমার টার্গেট ছিল পতাকাসমেত সবাইকে তুলা, এজন্য প্রায় সবারই চেহারা বুঝা যায় না। ফোকাস হয় নাই,আর মাঠে প্রচুর রোদ পড়তেছিলো,ছবিতো এরকম হবেই। ক্যামেরা ক্যাননের ছিল ৭০০D আরেফিন ম্যানেজ করে এনেছিলো।

ক্যাম্পটা করার পর দুইটা টেনশনের একটা দূর হয়।  প্রথমত,  দায়ভার।  স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করা আমাদের অন্যতম একটা দায়িত্ব,এটার  সূচনাটা ভালো ভাবে করতে পারায় আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি,  আরেকটা টেনশন ছিল ব্যাকলগ এক্সাম। শনিবার,মানে ২৬/৮/১৭ তে আমার ব্যাকলগ এক্সাম ছিল। মোটামুটি দিলাম। আশাকরি পাশ জুটবে।

Leave a comment